“জংলি কাননে“ একটি ছাতক পাখি শহর থেকে বেড়াতে এল। গরমে পরম শান্তি বাতাসে রাস্তার ধারে বসলে পাওয়া যায়। তবে গ্রামে শীত একটু বেশী টের পাওয়া যায়। সন্ধার পরে চাঁদনী রাতে গ্রামের সড়কে ঘুরাঘুরি। সড়কের দু পাশে এলোমেলো গাছ-গাছালির সারি সারি লাইন। হালকা বাতাস বহমান। পরিবেশে প্রচন্ড শীত! মাঘ মাসের শীত।
অনেক বছর পরে ছাতক পাখি গ্রামে! রাত ১০টার সময় হঠাৎ শুনাগেল বড় একটা পুকুরের চৌপাশে শত শত মানুষের ভীড়। সবাই নানা কথা বলাবলি করছে। কি নিয়ে কথা? গ্রামে যে কোনো একটা সাধারণ ঘটনা দেখা দেলেই প্রায় সকল মানুষের ভীড় লেগে যায়। গিয়ে দেখা যায় যে একটা লাল ছাতকী পাখি পুকুরের মাঝখানে সাতাঁর কাটতেছে আর অচেনা একটা ভাষায় সুরে সুরে গান গাইছে। অবাক হওয়ার কথাই- যেখানে একটা লাল ছাতকী পাখি সাতাঁর ও গান গাইছে। মানুষের কথার নানান বালাই। টর্চলাইট জ্বালিয়ে সবাই ছাতকী পাখিকে দেখছে। কেউ কিছু ভেবে পাচ্ছে না।
সবাই ব্যস্ত। কথার ফুলঝুঁড়ি। ঘন্টা দু-য়েক পরে হঠাৎ করে ছাতকী পাখি সবাইকে পুকুর পাড়ে রেখে উদাও। পরে জানা গেল সকালে শহর থেকে আগত ছাতক পাখিকে নিয়ে শহরের গলিতে চলে গেছে। ছাতক-ছাতকী পাখি একটি নতুন পরিবার তৈরী করলো আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জংলি কানন গ্রামের সরল সহজ মানুষের মাতামাতি আর ভালবাসার ছলে খোঁচা মারা, হিংসা করা কাল অবধি রয়ে যাবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
যেকোনো ঘটনা শহরের মানুষের ব্যস্ততায় হারিয়ে যায় তবে গ্রামে মানুষের কাছে তুচ্ছ ঘটনাও বড় আকারে রয়ে যায়। এবং সরল সহজ মানুষের মাতামাতি আর ভালবাসার ছলে খোঁচা মারা, হিংসা করা কাল অবধি রয়ে যায়।
২২ জুলাই - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
১১ টি
সমন্বিত স্কোর
৫.১
বিচারক স্কোরঃ ২.১ / ৭.০পাঠক স্কোরঃ ৩ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।